কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় হামলায় ধারাল অস্ত্র ও গুলিতে আহত পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক সঞ্জয় কুমার প্রামানিক নিহত হওয়ার ঘটনায় উত্তাল হয়ে পড়েছে ভেড়ামারা। বুধবার (৯ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ভেড়ামারা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক সঞ্জয় কুমার প্রামানিক নিহত খবর ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তের মধ্যে উত্তাল হয়ে উঠে ভেড়ামারা শহর।
শহরের সব দোকানপাট বন্ধ করে দিয়ে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। হামলার সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবিতে কুষ্টিয়া-প্রাগপুর আঞ্চলিক সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ নেতা- কর্মীরা।
স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে তার ছোট ভাই সম্পদ কুমার প্রামাণিক জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার দাদা সঞ্জয় কুমার প্রামানিকেরর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৪ আগস্ট) দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সঞ্জয়কে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। ওই দিনই তার স্ত্রী বিথী রানী বাদী হয়ে জাসদ যুবজোটের জেলা ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান শোভনকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ১০/১২ জনকে আসামি করে ভেড়ামারা থানায় মামলা করেন।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত আছে। উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলেও বর্তমানে তা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
উল্লেখ্য, স্থানীয় একটি মন্দিরের কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বুধবার (২আগষ্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভেড়ামারা শহরের গোডাউন মোড় এলাকায় জাসদ যুবজোটের জেলা ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান শোভনের নেতৃত্বে ২৫/৩০জন ভেড়ামারা পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক সঞ্জয় কুমার প্রামাণিকের ওপর হামলা চালায়। এসময় ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে গুরুতর আহত করে। হামলায় সঞ্জয়ের সঙ্গে থাকা বেলাল ও শ্যামল নামে আরও দুই স্বেচ্ছাসেবকলীগ কর্মী আহত হন।
এ ঘটনায় শোভনকে ওই দিন রাতেই আটক করে পুলিশ।
কুষ্টিয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মানব চাকী জানান, সকালে সঞ্জয়ের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর জরুরি সভায় বসেছি। সভায় সাংগঠনিকভাবে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।